সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সর্বদা সেনা সদস্যদের প্রস্তুত থাকতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

কত সুন্দরভাবে একটি যুদ্ধ পরিচালনা করা যায় এবং কত সাহসের সঙ্গে এগিয়ে যাওয়া যায়—এটি আজকের মহড়ার মাধ্যমে সুস্পষ্টভাবে প্রকাশ পেল। যদিও এটি বাস্তব যুদ্ধ নয়, এটি ছিল একটি মহড়া। তবে এই মহড়ার মধ্যেই লুকিয়ে আছে বাস্তব যুদ্ধের প্রস্তুতির আদর্শ চিত্র। কারণ, সঠিক প্রস্তুতিই প্রকৃত যুদ্ধে আমাদের সফলতার চাবিকাঠি।

সেনাবাহিনীর মূল লক্ষ্যই হলো যেকোনো পরিস্থিতিতে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা। এখানে আবহাওয়া বা প্রতিকূলতা কোনো বাধা হতে পারে না। কারণ একজন সেনার কাজ যেকোনো মুহূর্তে এবং যে কোনো অবস্থায় প্রস্তুত থাকা। বর্ষা, গরম, ঠাণ্ডা—এসব কোনো অজুহাত হতে পারে না। আজকের মহড়া সেই প্রস্তুতিরই একটি নিখুঁত উদাহরণ।

ইতিহাসের বহু যুদ্ধ আমরা সিনেমার পর্দায় দেখি, যেখানে বীরত্ব এবং সাহসের গল্প চিত্রিত হয়। প্রথম ও দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের মতো বড় বড় যুদ্ধের বাস্তব চিত্র আমাদের অনেক কিছু শেখায়। এই মহড়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সেই অতীতের বীরত্ব এবং সাহসের স্মরণ করিয়ে দেয়। অসহায় অবস্থা থেকেও কিভাবে শত্রুকে পরাজিত করা যায়, সেই শিক্ষাই মহড়ার মূল উদ্দেশ্য।

আমাদের সেনাবাহিনী আজকের মহড়ায় যে দক্ষতা এবং পেশাদারিত্ব প্রদর্শন করেছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। এই প্রস্তুতিতে যেসব ইউনিট অংশগ্রহণ করেছে এবং যারা এটি পরিচালনা করেছেন, তাদের সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন। এই মহড়া আমাদের একটিই শিক্ষা দেয়—বারবার অনুশীলনের মাধ্যমেই পারফেকশনের দিকে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব।

আমি মহান আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ যে, আমি এই মহড়ার অংশ হতে পেরেছি। একজন শান্তিকামী মানুষ হিসেবে, আমি সবসময় শান্তির পক্ষে। তবে দেশের স্বাধীনতা রক্ষায় সামরিক বাহিনীর এই প্রশিক্ষণ অত্যন্ত জরুরি। আজকের মহড়া দেখে আমি আমাদের সেনাবাহিনী এবং বিমান বাহিনীর সক্ষমতা সম্পর্কে আরো আত্মবিশ্বাসী হয়েছি।

ভবিষ্যতে আমাদের সশস্ত্র বাহিনীকে আরও আধুনিক এবং শক্তিশালী করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই মহড়া সেই লক্ষ্য পূরণের একটি শক্তিশালী পদক্ষেপ। আমাদের সশস্ত্র বাহিনীকে সমর্থন এবং তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য আমরা সর্বদা কাজ করে যাব।