দিল্লির রাস্তায় রাস্তায় এখন মোদীবিরোধী আন্দোলন

বিজেপি শাসনের সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছেন ভারতের মোদি সরকার। মোদি প্রশাসনের বেশ কয়েকটি ভুল কূটনৈতিক সিদ্ধান্তের জন্য তারা তাদের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক বাজার হারানোর পথে রয়েছে। বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে সম্পর্কের অবনতি ভারতের রপ্তানি খাতে মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে। বাংলাদেশের সরকার পতনের পর থেকেই ভারত তাদের অন্যতম বৃহৎ রপ্তানি বাজার হারাতে চলেছে। আওয়ামী লীগের শাসনামলে শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে ভারতকে সব রকম সহযোগিতা করে এসেছে, কিন্তু গণঅভ্যুত্থানের মুখে হাসিনার সরকারের পতনের পর ভারতের আধিপত্যের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে শুরু করে এদেশের জনতা। ফলে ভারত তাদের অন্যতম বড় বাণিজ্যিক বাজার হারাতে শুরু করে।

বাংলাদেশ থেকে ভারত প্রতিবছর প্রায় ১.৬ বিলিয়ন বা ১৬০০ কোটি ডলার রেমিটেন্স পেয়ে থাকে। সম্প্রতি ভারতীয় আধিপত্যের বিরুদ্ধে সবাই রাস্তায় নেমেছে। এমনকি ভারতীয় পণ্যের বয়কটের ডাক দিয়েছে এদেশের জনগণ। এতে করে ভারতীয় কৃষকেরা মোদি সরকারের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছে। এদিকে ৫ আগস্টের পর থেকে ভারতে বাংলাদেশীদের আনাগোনা কমেছে অনেকাংশে। ভিসা সীমিত করার ঘোষণা, চিকিৎসা না দেওয়ার ঘোষণা, গাড়ির যন্ত্রাংশ বিক্রি বন্ধ ঘোষণা, হোটেল ভাড়া না দেওয়া এবং দুই দেশের মধ্যে রেলসেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে ভ্রমণ ও ব্যবসা খাতে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশীরা হঠাৎ করে এভাবে ভারত থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ায় ক্ষতির মুখে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ব্যবসা-বাণিজ্য ও পর্যটন শিল্প। চিকিৎসা ও দর্শনীয় স্থান ভ্রমণের জন্য বেশিরভাগ বাংলাদেশী ভারতে যান। জানা গেছে, বছরে প্রায় ২৪ লাখ ৭০ হাজার বাংলাদেশী চিকিৎসা এবং ভ্রমণের জন্য ভারতে যান, যার মাধ্যমে বছরে প্রায় বাংলাদেশ থেকে ৫০ হাজার কোটি টাকা ভারতীয় অর্থনীতিতে যোগ হয়। ভারতের রেমিটেন্স পাওয়ার দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থতম।

এদিকে হঠাৎ করে দেশের অর্থনীতির পতন হওয়ায় চিন্তিত মোদি সরকার। অন্যদিকে মোদির বিরুদ্ধে রয়েছে বিরোধী দমনের মতো গুরুতর অভিযোগ। ভারতের রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে সাধারণ জনগণ অনেকেই রাস্তায় নামতে শুরু করেছে মোদির বিরুদ্ধে। দিল্লির রাস্তায় রাস্তায় মোদি বিরোধী পোস্টার এঁটে দিয়েছে সে দেশের জনগণ।