জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে ভারতীয় হাই কমিশন থেকে কর্মী প্রত্যাহার সাময়িক ভিসা প্রদান বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত সরকার।
ভিসা সীমিত ও দুই দেশের মধ্যে রেলপথে যাত্রী সেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে ভ্রমণ খাতে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশের ক্ষতির পাশাপাশি অচল অবস্থায় নেমে এসেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ব্যবসা-বাণিজ্য ও পর্যটন শিল্পেও।
বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে যাওয়া বাংলাদেশীদের একটি বড় অংশ যান চিকিৎসা ও দর্শনস্থান ঘুরতে।
চিকিৎসার জন্য বছরে ২৪ লাখ ৭০ হাজার মেডিকেল টুরিস্ট বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাচ্ছেন।
বিদেশে চিকিৎসা নিতে বছরে দেশের ৫০ হাজার কোটি টাকা বিদেশে চলে যাচ্ছে।
ভারতে যত পর্যটক যান, তার মধ্যে সবথেকে বেশি যান বাংলাদেশ থেকে, যা মোট পর্যটকের ২১.৫ শতাংশ।
এই খাত থেকে ভারতের আয় ১৭ বিলিয়নের মতো।
বাংলাদেশীরা ভারতের অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখছে। ভারতে রেমিটেন্স যাওয়া দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থতম।
বাংলাদেশে পাঁচ লাখ ভারতীয় কাজ করেন বলে ধারণা করা যায়, যারা বেশিরভাগ টুরিস্ট ভিসাতে এসে অবৈধভাবে কাজ করেন।
টুরিস্ট ভিসা নিয়ে বিদেশীদের কাজ করার সুযোগ বন্ধ করলে দেশের বেকারদের চাকরি পাওয়া সহজ হবে।
পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার মার্কুস স্ট্রিটকে বলা হয় মিনি বাংলাদেশ। বাংলাদেশী ক্রেতার অভাবে সেই এলাকা ফাঁকা।
কলকাতার নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশী ক্রেতাদের দিকে তাকিয়ে আছেন। এখন বাংলাদেশী ক্রেতাও নেই, তাদের ব্যবসাও নেই।
বাংলাদেশীদের ভিসা বন্ধ করে ভারত নিজ দেশের নাগরিকদেরই বিপদে ফেলেছে।
বাংলাদেশী ক্রেতার অভাবে কলকাতার ব্যবসায়ীদের অবস্থা খারাপ।
ভারত বাংলাদেশ থেকে সুবিধা নিলেও, ক্ষতি হচ্ছে ভারতেরই।
বাংলাদেশ এই সুযোগ কাজে লাগালে স্বনির্ভরতার পথে এক ধাপ এগিয়ে যেতে পারে।
ফাতেমা শিলু।